সংবাদ সারাদেশ ঃ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলের ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে জিনিসপত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ ১১টি প্রতিশ্রুতিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “অনয়ন স্বপ্ন, বারবে এবার কর্মসংস্থান” যার অনুবাদ হচ্ছে “উন্নয়ন দৃশ্যমান, এখন কর্মসংস্থান বাড়ানোর সময়”।
অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রিসভার সদস্য, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণাকালে বলেন, “২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিকতা দ্বাদশ নির্বাচনী ইশতেহারেও বজায় রাখা হয়েছে।”
ইশতেহার অনুযায়ী, নির্বাচনে দল জিতলে আওয়ামী লীগ যে ১১টি প্রতিশ্রুতিকে অগ্রাধিকার দেবে তা হলো:
1. প্রত্যেকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার রাখার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা।
2. যুবকদের জন্য ব্যবহারিক শিক্ষা এবং নিরাপদ কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা।
3. আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
4. সুষম কৃষি নীতি প্রচার করা, যান্ত্রিকীকরণে বিনিয়োগ করা এবং প্রক্রিয়াকরণ ও মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা।
5. দৃশ্যমান অবকাঠামোগত সুবিধার উন্নয়ন এবং বর্ধিত বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প খাতের সম্প্রসারণকে উন্নীত করা।
6. ব্যাংকিং সহ অর্থনৈতিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
7. স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।
8. পাবলিক পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে একীভূত করা।