নিজস্ব প্রতিবেদকঃপ্রাণ কোম্পানী নাটোর কারখানা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন অভিযোগ করে বলেছেন চাকুরিরত অবস্থায় তাকে কাদিয়ানী অনুসারী হওয়ার কথা বলেছিলেন মালিক পক্ষ। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। শুধু তাকেই নয় তার মতো আরো অনেককেই প্রাণ কোম্পানীর চাকুরীচ্যুত হতে হয়েছে। অনেকেই চাকুরী রক্ষায় কাদিয়ানী অনুসারী হয়ে বিভিন্ন পদে কর্মরত আছেন। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় সাহারা প্লাজার চাইনিজ রেস্তোরায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তোলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন কারখানার প্রধান ফটকে তার বাড়ি। কারখানার শুরুতে তার বাবা প্রথম ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতেন। পরবর্তীতে তিনিও কাজে যোগদান করেন। এ অবস্থায় মালিক পক্ষ থেকে তাকে বেতন বৃদ্ধিসহ নানা লোভনীয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে কাদিয়ানী অনুসারী হওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাদের সেই কথা রাখতে পারিনি বলে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন আমার মতো এমন অনেকেই কাদিয়ানী অনুসারী না হওয়ায় চাকুরীচ্যুত হতে হয়েছে। এমনকি বর্তমানে চাকুরী রক্ষায় প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মচারী কাদিয়ানী হয়ে চাকুরী করছেন। আল আমিন অভিযোগ করে বলেন যারা দীর্ঘদিন যাবত কারখানায় কর্মরত আছেন এবং বেতন বেশি হয়েছে তাদেরকে ছাটাই করতে বিভিন্ন স্থানের কারখানায় বদলী ও বেতন কমানো হুমকি দিয়ে কৌশলে কর্মী ছাটাই করা হয়। ফলে অসংখ্য কারখানা শ্রমিক চাকুরীচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন আমি একজন মুসলিম এবং আমার ধর্ম ইসলাম, নবী মোহাম্মাদুর (রাঃ) আমার আদর্শ, অথচ তারা আমাকে কাদিয়ানী অনুসারী হতে বলেন, আমি এটা মেনে নিতে পারিনি। চাকুরীচ্যুত হয়েছি তবুও কাদিয়ানী হই নাই। তিনি এই ঘটনার ন্যায় বিচার চান।