ডেস্ক খবর ঃ এবার জিআই পণ্যের মর্যাদা পাচ্ছে নাটোরের ঐতিহ্যবাহী কাঁচাগোল্লা । জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক চিহ্ন) পণ্য হচ্ছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা ঐতিহ্যবাহী এ মিষ্টান্নকে নিবন্ধনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির হাতে জিআই পণ্য হিসেবে কাঁচাগোল্লা তালিকাভুক্তির জন্য এফিডেভিটের কপি হস্তান্তর করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, যেহেতু কাঁচাগোল্লার সঙ্গে নাটোরের আবেগ জড়িত। এ কারণে আমার বিদায়ের আগে আমি কাজটি শুরু করেছি। আশা করছি, অল্পদিনের মধ্যে জিআই পণ্য হিসেবে কাঁচাগোল্লা অন্তর্ভুক্ত হবে।কাঁচাগোল্লার প্রকৃতি পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই তালিকাভুক্তির মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ হবে। অপর দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আমসহ দেশের আরও ৭টি পণ্য পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) সনদ। এতে আগের ১১টিসহ দেশে জিআই মর্যাদা পাওয়া মোট পণ্যের সংখা হবে ১৮টি।নতুন করে সনদ পেতে যাওয়া সাতটি পণ্য হচ্ছে— ব্ল্যাক বেঙ্গল, শীতলপাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং বগুড়ার দই।নতুন করে সনদ পেতে যাওয়া সাতটি পণ্য হচ্ছে— ব্ল্যাক বেঙ্গল, শীতলপাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং বগুড়ার দই।নতুন করে সনদ পেতে যাওয়া সাতটি পণ্য হচ্ছে— ব্ল্যাক বেঙ্গল, শীতলপাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং বগুড়ার দই।নতুন করে সনদ পেতে যাওয়া সাতটি পণ্য হচ্ছে— ব্ল্যাক বেঙ্গল, শীতলপাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং বগুড়ার দই।নতুন করে সনদ পেতে যাওয়া সাতটি পণ্য হচ্ছে— ব্ল্যাক বেঙ্গল, শীতলপাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং বগুড়ার দই।নতুন করে সনদ পেতে যাওয়া সাতটি পণ্য হচ্ছে— ব্ল্যাক বেঙ্গল, শীতলপাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং বগুড়ার দই।নতুন করে সনদ পেতে যাওয়া সাতটি পণ্য হচ্ছে— ব্ল্যাক বেঙ্গল, শীতলপাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং বগুড়ার দই।
প্রাকৃতিকভাবে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং কোনো একটি এলাকাভিত্তিক খ্যাতি পাওয়া যেকোনো পণ্য জিআই সনদ পেতে পারে। তবে তার একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। দেশের আবহাওয়া ও পরিবেশ যদি কোনো পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে, সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত হয়, তাহলে তা দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য।জিআই সনদ দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) কৃষি, হস্তশিল্প ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন— এ তিন ধরনের পণ্যকে জিআই সনদ বা মর্যাদা দেওয়া হয়।
জিআই সনদ পেতে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে তথ্য-উপাত্তসহ ডিপিডিটির কাছে আবেদন করতে হয়। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রারের অনুমোদন পেলে জার্নালে প্রকাশ করা হয়। পরে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
দুই মাসের মধ্যে কেউ যদি এই পণ্য নিয়ে আপত্তি না তোলে তাহলে সনদ দেওয়া হয়। এর পরই কেবল দেশের মধ্যে একক মর্যাদাসম্পন্ন পণ্য হিসেবে গণ্য করা হয়।
জিআই পণ্য হিসেবে প্রথম ২০১৬ সালে স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি। এরপর ইলিশ মাছ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, বাংলাদেশের কালিজিরা ধান, ঢাকাই মসলিন, বাগদা চিংড়ি, রংপুরের শতরঞ্জি রাজশাহীর সিল্ক ও ফজলি আম।
২০১৩ সালে জিআই সনদ আইন পাস করে সরকার। আর ২০১৫ সালে প্রকাশ করে বিধিমালা। এ বিধিমালার সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডাব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে জিআই সনদ দেয় ডিপিডিটি।