বাগাতিপাড়া প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় লেবুর দাম নিম্নমুখী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে লেবু চাষীরা। আমদানি বেশি এবং বাজারে ক্রেতা সংকটের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। হালিতে বিক্রি হওয়া লেবু এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি ওজনে। এক কেজি লেবুর খুচরা মূল্য ৫ টাকা। গত দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলার মালঞ্চি, দয়ারামপুর, তমালতলা ও জামনগরসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। আজ বুধবার(৩১ আগস্ট) মালঞ্চি হাটে কথা হয় লেবু বিক্রেতা বেগুনিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে তার বাগানে বেশ লেবু এসেছে। লেবু উত্তোলন করে আড়তে বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। প্রতি কেজি দুই টাকা বলায় সেখানে না দিয়ে আস্তে আস্তে হাটে হাটে বিক্রি করছেন। এতে বেশির ভাগ লেবু নষ্ট হচ্ছে। হাটে প্রতি কেজি ৫ টাকা দরে বিক্রি পাচ্ছে। প্রতি কেজিতে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি লেবু ধরেছে। এতে প্রতি লেবুর দাম পড়েছে মাত্র ২০ পয়সা থেকে ২৫ পয়সা। সোনাপাতিল মহল্লার লেবু চাষী সাদেক মন্ডল বলেন, তার নিজের দুই বিঘা জমিতে লেবু বাগান রয়েছে। এলাচি ও চায়না থ্রি জাতের লেবু চাষ করেছেন। বাগানে বিপুল পরিমাণে লেবু ধরেছে। কিন্তু ক্রেতা নেই। বাইরে থেকেও তেমন ক্রেতা এ অঞ্চলে আসছেন না। ফলে গাছ থেকে উত্তোলন না করায় বাগানেই মাটিতে পড়ে পঁচে যাচ্ছে। মালঞ্চি বাজারের লেবু আড়তদার কুদ্দুস ও জহুরুল জানালেন, চলতি মৌসুমে লেবু বিক্রি করে পরিবহণ খরচই উঠছে না। সংগ্রহ ও শ্রমিকের খরচ দিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অন্যান্য সবজিসহ প্রায় সব জিনিসের দামই বাড়ছে। কিন্তু লেবুর দাম দিন দিন কমে যাচ্ছে। এজন্য সরকারি ভাবে লেবু সংরক্ষণাগার স্থাপনের দাবী জানান তারা। নাহলে ভবিষ্যৎতে বাণিজ্যিকভাবে লেবু চাষে আগ্রহ হারাবেন কৃষকরা।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী জানান, বাণিজ্যিকভাবে অনেক কৃষক লেবু চাষ করেছেন। তা ছাড়া বাগানের ছায়াতে কিংবা জমির আইল দিয়ে সাথি ফসল হিসাবেও কৃষকরা লেবু চাষ করছেন। তাতে করে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২৫ বিঘা জমিতে লেবু চাষ হয়েছে। বাজারে আমদানি বেশি হওয়ার কারণে লেবুর দাম বর্তমানে কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।