পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘চীনের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধার পরিধি আরও ১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এটি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। আমরা আশা করি, বাড়তি এই শতাংশে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতের ওভেন প্রোডাক্টসের যে সীমাবদ্ধতা ছিল, সেটা দূর হবে। আমরা হয়তো বিকেল নাগাদ তালিকাটা পাব। আমার মনে হয়, এ সফরে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অতিরিক্ত ১ শতাংশ পণ্য ও সেবা, যেটা আমাদের তারা শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে।আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের আলোচনা শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্ভাব্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক চুক্তির বিষয়ে একটি যৌথ সমীক্ষা শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের।শাহরিয়ার আলম বলেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের কারখানা ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়তা করবেন বলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্রুত চালুর বিষয়ে বাংলাদেশকে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি জানান, আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। বাণিজ্য বৈষম্য দূর করাটা আলোচনায় একটি বড় ইস্যু ছিল।রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে চীন কাজ করে যাবেদুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়টি তুলেছেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে চীনের জোরালো সহযোগিতা প্রয়োজন। চীন এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে গিয়েছিল। এর চূড়ান্ত সমাধান হওয়া দরকার।শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। চীন বলেছে, সে দেশের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ দূর করার চেষ্টা করছে। সেটা শুধু বাংলাদেশ নয়, অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে চীন অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।এ নিয়ে আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, অনেক দিন হয়ে গেল। আমাদের দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে। সেটা শুধু স্থানীয় জনগোষ্ঠীই নয়; শিবিরে মাদক ও অস্ত্র পাচার বেড়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। সেখানকার ক্রমাবনতিশীল পরিস্থিতি আমাদের অবশ্যই থামাতে হবে। আগে বলেছিলাম, তারা এসেছে আমরা রেখেছি। এখন তো অনেক সমস্যা। সেটা ব্যাখ্যা করেছি। আমরা আশা করব, তিনি আরও ভালোভাবে জেনে দেশে ফিরে গিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’