প্রতারণার টাকায় বাড়ি জমি, বিকাশ-নগদে কোটি টাকা

প্রতারণার টাকায় মাছের খামার, জমিসহ বিপুল সম্পদ। তাঁর লক্ষ্য থাকত ব্যবসায়ী ও ভালো বেতনের চাকরিজীবীরা।

যেভাবে প্রতারণা

ডিবির কর্মকর্তারা জানান, দৈবচয়নের ভিত্তিতে পুরোনো মুঠোফোনের প্রথম পাঁচ সংখ্যার সঙ্গে বাকি সংখ্যা মিলিয়ে ফোন ব্যবহারকারীর কিছু তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেন। তাঁর লক্ষ্য থাকে ব্যবসায়ী কিংবা ভালো বেতনের চাকরিজীবী। এ ছাড়া নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ব্ল্যাকমেলিংয়ের মাধ্যমেও টাকা নিতেন। তাঁর সহযোগী শরিফুল বিভিন্ন জেলায় গিয়ে নগদ ও বিকাশের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলেন।ডিবি গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কামরুজ্জামান সরদার বলেন, দিনে একাধিক ব্যক্তিকে ফোন দিতেন বিনিয়ামিন। কথা বলা অবস্থায় যদি ধরা খেতেন, তাহলে ওই নম্বরটি ব্লক করে দিতেন।

বাড়িতে ১২টি সিসি ক্যামেরা

ত্রিশালের সতেরপাড়া গ্রামের আদম আলী শিকদারের ছেল বিনিয়ামিন। আদম আলী ছিলেন সবজি বিক্রেতা। সরেজমিনে দেখা গেছে, সতেরপাড়ার টিনশেড পুরোনো বাড়ির পাশেই পাঁচতলা বাড়ির নির্মাণকাজ চলছে। বাড়িটির দোতলা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে।এলাকাবাসী জানান, আগে বাইরে থাকলেও তিন বছর ধরে গ্রামেই বেশি থাকেন বিনিয়ামিন। নিজের নিরাপত্তায় বাড়ি ও আশপাশে ১২টি সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন, যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলে পালিয়ে যেতে পারেন।[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন ময়মনসিংহ প্রতিনিধি কামরান পারভেজ]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *