চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৬৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য শোয়েব চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।মামলায় দক্ষিণ বাকলিয়া বিএনপির সভাপতি নবাব খান, বিএনপির কর্মী মো. টিপু, নুর উদ্দীন, সানাউল কাদের চৌধুরী, ইউনুস চৌধুরীসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি।বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও স্থানীয় কাউন্সিলের বাসায় হামলার অভিযোগে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা হয়নি।তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী মারুফ হোসেন জানান, তাঁরা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা না নিলে আদালতে যেতে পারেন।গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নগরের বাকলিয়া মিয়াখান নগর এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে প্রায় ১৫ জন আহত হন। পরে রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থক স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। এর জন্য বিএনপিকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে বিএনপি তা অস্বীকার করছে।বাকলিয়া মিয়াখান নগর বাদামতলী মোড়ে নগর বিএনপির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ ছিল। সেখানে বিএনপির নেতা–কর্মীরা জড়ো হয়। সভা শুরু হওয়ার আগে ওই সময় স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে এসে হাজির হয়। তাদের বেশির ভাগেরই হাতে ছিল লাঠি ও রড। মাঝখানে বাকলিয়া থানার পুলিশ অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষকে থামায়। এরই মধ্যে দুই পক্ষের কিছু লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।