নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের অনাস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নাটোরের নলডাঙ্গা পৌর সভার আলোচিত মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ভুঁয়া প্রকল্পের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, সুকৌশলে নিজেই ঠিকাদারী লাইসেন্স ব্যবহার করে সাড়ে তিন কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সহ নানা দূর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তুলে রোববার রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত ভাবে অনাস্থাা প্রকাশ করেছেন পৌর সভার সকল কাউন্সিলর। অনাস্থাার আবেদনে কাউন্সিলররা বলেন, পৌর সভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে মেয়রের কোন সমন্বয় নেই। মেয়র নিজের মনগড়া নিয়মে পৌর সভা পরিচালনা করেন। মেয়র সরকারী বিধিমালাকে তোয়াক্কানা করে নাটোর নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে চুক্তিনামা করে পৌরসভার আরো চারজন তালিকাভুক্ত ঠিকাদারকে সাথে নিয়ে পৌর সভার তিন কোটি ৬০ লাখ টাকার গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করছেন। পৌর সভার ধোবাপুকুর গোরস্থাান হতে তেতুল তলা পর্যন্ত গ্রামীন সড়ক খোয়া দ্বারা মেরামত করার নামে কোন কাজ না করেই প্রকল্পের সুমুদয় টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। সরকারি ক্রয় নীতিমালা-২০০৮ লংঘন করে কোন কমিটি না করেই সব কেনা কাটা করে পরে জোর করে মেয়র তাদের দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পৌর সভাকে মেয়র তার ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে মনে করে যা ইচ্ছে তাই করছেন। কোন মিটিং হলে রেজুলেশন সরবরাহ করে না। পরে নিজের ইচ্ছে মতো যা খুশি লিখে নেয়। পৌর সভার সিসিক্যামেরা কেনা ও স্থাাপনে খরচের চেয়ে প্রায় চারগুন বেশি টাকা ভুঁয়া বল দাখিল কওে উত্তোলন করা হয়েছে। মশক নিধনের নামে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে ভুঁয়া ভাউচার দাখিল করে পৌর সভার টাকা উত্তোলন করে মেয়র আত্মসাত করেছেন। এছাড়া করোনা মোকাবিলার নামে সুরক্ষা উপকরন ক্রয় ও বিতরনেও রয়েছে নানা অনিয়ন। মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের নামে পৌরসভা থেকে কয়েক লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের পর থেকে আজ অবধি কোন কাউন্সিলরকে ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়নি। এখানেও লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। পৌর সভার ভবন রং করতে মাত্র ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অথচ সেখানে ৫ লাখ টাকা খরচ দেখিয়ে ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কোটেশন ও কাউন্সিলরদের নামে পিআইসি প্রকল্প দেখিয়ে কাজ নাকরেই অর্থ উত্তোলন করে থাকে মেয়র। এখন জনবল নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্য শুরুর তৎপরতা চলছে। পৌরসভার এক নং প্যানেল মেয়র শরিফুলই সলাম পিয়াসও পৌর সভার কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মুক্তা অনাস্থাার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, পৌরসভার সকল কাউন্সিলর গণ গত ১৪ আগস্ট লিখিত ভাবে রেজুলেশন করে এই মেয়রকে পদ থেকে অপসারন করার সিন্ধান্ত গ্রহন করে এবং রোববার রাজশাহী বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে রেজুলেশনের কপিসহ আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।