সামিয়া রহমানের কাছে ঢাবির ১১ লাখ ৪১ হাজার টাকা পাওনা দাবি

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের কাছে পাওনা হিসেবে ১১ লাখ ৪১ হাজার ২১৬ টাকা দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন দাবি করা হয়েছে। তবে এ চিঠিকে বানোয়াট আখ্যা দিয়ে হেনস্তা করতে বিশ্ববিদ্যালয় এই টাকা দাবি করেছে বলে দাবি সামিয়া রহমানের।বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল সিন্ডিকেটের সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনার (সামিয়া রহমান) প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদসহ জমাকৃত টাকার পরিমাণ ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ২১৬ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আপনার দেনা ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা পরিশোধ করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে সামিয়া রহমান সমকালকে বলেন, ‘আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কোনো টাকা পায় না। বরং অর্জিত ছুটিতে থাকায় আমিই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে টাকা পাই। মামলায় হেরে আমাকে টাকা বুঝিয়ে না দিতে এবং প্রতিশোধ নিতে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর এই চিঠিতে ৩ আগস্টের স্বাক্ষর দেওয়া আছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মঙ্গলবার আমাকে মেইল পাঠানো হয়েছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, এটা একটা বানোয়াট চিঠি।’তিনি বলেন, ‘আমাকে হেনস্তা করার জন্য, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন তড়িঘড়ি করে এমন চিঠি বানিয়েছে। এর কোনো ভিত্তি নেই। ছুটির কাগজপত্র আমার কাছে আছে, ছুটিতে থাকলে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় টাকা পাবে? আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছি। মামলা করব, আর এটাতেও বিশ্ববিদ্যালয় হারবে।’গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সামিয়া রহমানকে এক ধাপ পদাবনতি দিয়ে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক করা হয়। পরে ওই বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। গত ৪ আগস্ট সামিয়া রহমানকে পদাবনতির আদেশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে তাকে সব সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *