সরানো হলো বাপেক্সের সেই ডিজিএমকে

গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানিতে (বাপেক্স) ২০০২ সালের ৭ অক্টোবর যোগ দেন মেহেরুল হাসান। সর্বশেষ ভূপদার্থিক বিভাগে মহাব্যবস্থাপক (জিএম-অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বাপেক্সে দীর্ঘ ২০ বছর কর্মকালে থ্রিডি সাইসমিক ডাটা অ্যাকুইজিশন উপবিভাগ ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রধান হিসেবে কাজ করেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, সিন্ডিকেট পাকিয়ে এসব প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন মেহেরুল হাসান। এই সিন্ডিকেটের ঘুঁটি এতই মজবুত যে- দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েও জড়িতদের বিরুদ্ধে এত বছরেও ব্যবস্থা নিতে পারেনি বাপেক্স। গত ২৭ জুলাই ‘বাপেক্সে থ্রিডি-টুডি দুর্নীতি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আমাদের সময়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের কয়েক কর্মকর্তার যোগসাজশে গ্যাস অনুসন্ধানে বাপেক্সের থ্রিডি ও টুডি সাইসমিক প্রকল্পে ৬১০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। সেই সঙ্গে ভুয়া কাগজপত্রে ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এর পর টনক নড়ে বাপেক্সের। প্রতিবেদন প্রকাশের পাঁচ দিন পর গত ৩ আগস্ট বছরের পর বছর আঁকড়ে ধরে থাকা সেই চেয়ার থেকে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে জিএম মেহেরুল হাসানকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পেট্রোবাংলার নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি শাখার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) রণজিৎ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাপেক্সের ভূপদার্থিক বিভাগে কর্মরত উপ-মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি ক্যাডার) মেহেরুল হাসানকে পেট্রোবাংলার রিজার্ভয়ার অ্যান্ড ডাটা ম্যানেজমেন্ট বিভাগে উপ-মহাব্যবস্থাপক পদে প্রেষণে বদলি করা হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *