শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেওয়ার আলোচনায় আইএমএফ

শ্রীলঙ্কার সামগ্রিক ঋণ মূল্যায়নের পর তাদের কাছ থেকে ঋণের স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আশ্বাস চাইবে আইএমএফ।

কার কাছে কত ঋণ

পশ্চিমা বিশ্ব একটি কথা প্রচার করেছে, সেটা হলো চীনের কাছ থেকে অবকাঠামোগত ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এটা ঠিক, হাম্বানটোটা বন্দর নির্মাণে চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করতে পারেনি দেশটি। সে জন্য এই বন্দরের পরিচালনা চীনের হাতে ছেড়ে দিতে হয়েছে। বাস্তবে শ্রীলঙ্কার মোট বৈদেশিক ঋণের মাত্র ১০ শতাংশ চীনের কাছ থেকে নেওয়া। তবে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদ কেবল চীনই নেয়। পশ্চিমা দেশ ও দাতাদের কাছ থেকে শ্রীলঙ্কা তাদের মোট ঋণের ৪৭ শতাংশ নিয়েছে। এর বড় একটি অংশ সার্বভৌম বন্ডের ঋণ। এই ঋণের মেয়াদ খুবই কম। ফলে শ্রীলঙ্কার একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধের চাপ থাকায় দেশটি বিপাকে পড়ে যায়।অন্যদের কাছ থেকে শ্রীলঙ্কার নেওয়া ঋণের হিস্যা এ রকম: এডিবি ১৩ শতাংশ, জাপান ১০ শতাংশ, বিশ্বব্যাংক ৯ শতাংশ, ভারত ২ শতাংশ ও অন্যান্য উৎস ৯ শতাংশ।দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতি থাকলে সেটাকে বলা হয় স্বাস্থ্যকর অর্থনীতির লক্ষণ। জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়লে একদিকে জনগণ খেপে যায় এবং সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, অন্যদিকে সরকার জনগণকে চাপে রেখে কাজ চালিয়ে যায়, কিন্তু অর্থনীতির নীতি, বাজেট ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করে না। এতে অর্থনীতি আরও গর্তে পড়ে যায়। আর যেসব দেশ উৎপাদনে নজর না দিয়ে অতিমাত্রায় আমদানিনির্ভর হয়ে পড়ে, তাদের অর্থনীতির বুদ্‌বুদ যেকোনো সময় ফেটে যাতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

এবার বিপাকে ভুটান

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় সব ধরনের যানবাহন আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান। তবে নিত্যপণ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা কাজে ব্যবহৃত ভারী যন্ত্রপাতি আমদানি অব্যাহত থাকবে।রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব ভুটানেও পড়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির পাশাপাশি যুদ্ধের কারণে তেল ও শস্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে দেশটি। আবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শূন্য কোভিড নীতির কারণে দুই বছর ধরে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশটিতে রিজার্ভ কমতে শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *