গুরুদাসপুর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে পরকীয়ার টানে রাতের আঁধারে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে গ্রামবাসীর হাতে ধরা খেলেন বিল্টু প্রামানিক (৩০) নামের এক প্রেমিক যুবক। মঙ্গলবার (২আগষ্ট) দিবাগতরাত সাড়ে ১২টার দিকে এলাকাবাসি প্রেমিকার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল সিরাজ মেকারের মোড়ে ওই ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে ঘঁনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও প্রধানগণ কাজী ডেকে ছেলে মেয়ের সম্মতিতে খোলা তালাক দেন। এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত কাজি শফিকুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসির নিকট থেকে কল পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাশুনে ছেলে এবং মেয়ের সম্মতিতে উপস্থিত স্বাক্ষীগণের সামনে উভয়েই খোলা তালাক স্বাক্ষর করেন। স্থানীয়রা জানান, বিল্টু মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তার পরকীয়া প্রেমিকা একই এলাকার হামলাইকোল গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রীর সঙ্গে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দেখা করতে আসেন। এ সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে ঘরের মধ্যে লোকজন খোঁজাখুজি করে। এক পর্যায়ে ঘরে থাকা স্টিলের লেপ তোষক রাখা ট্রাংক (বাক্স) ভেঙ্গে ভিতরে পালিয়ে থাকা বিল্টুকে আটক করে গ্রামের প্রধানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা ঘটনা পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে নিজেরাই প্রেমিক প্রেমিকার সাথে কথাবলে স্ব স্ব পরিবারের কাছে তাদের ছেড়ে দেন। ঘঁটনাটি সকলের কাছে রহস্য জনক মনে হয়েছে। গ্রামের প্রধান শফিকুল ইসলাম, আলম প্রামানিক ও রুবেল হোসেনসহ বেশ কয়েক জন জানান, তাঁরা বিল্টু এবং রমজানের স্ত্রীর মতামতের প্রেক্ষিতেই দুজনের বিয়ে করার শর্তে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে ঘঁনাটি অবশ্যই প্রশাসনকে জানানো উচিত ছিলো। এ ব্যাপারে দুই সন্তানের জননী রমজানের স্ত্রী বলেন, বিল্টু দীর্ঘ দিন ধরে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। গত রাতে বিল্টুর সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার স্বামী রমজানকে কৌশলে তার বাবার বাড়ি তাড়াশের মান্নাননগরে ধান আনতে পাঠানো হয়। সেই সুযোগে বিল্টু গভীর রাতে তার সাথে দেখা করতে আসলে পাশপাশের লোক জানতে পেরে আমাকে ঘরের দরজা খুলতে বলে। উপায়ন্তনা পেয়ে আমি বল্টুকে তার কথা মতো বাক্সের মধ্যে আটকে রেখে দরজা খুলে দেই। যেহুতু বিল্টু আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাই আমি বিল্টুর সম্মতিতেই খোলা তালাকে স্বাক্ষর করেছি। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, পরকিয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেননা। তবে এক দম্পতির সাংসারিক ঝামেলায় খোলা তালাক হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।