নাটোর জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের ঘোষনা দিয়েছে আদালত

নাটোর জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের ঘোষনা দিয়েছে আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোর জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে আদালত। গত ২১ আগষ্ট ’২২ইং তারিখ রবিবার সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়। আদালতের লিখিত আদেশ এর ব্যাপারে মামলার বাদী মোঃ মিঠুন আলী’র আইনজীবি মোঃ হাসান্জ্জুামান বাপ্পী জানান, গত ১১ই আগষ্ট-২২ইং তারিখে মোঃ মিঠুন আলী বাদী হয়ে নাটোর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে (মামলা নং-২৬৩/২২ অভ্র) মামলা দায়ের করে। সে মোকদ্দমায় উল্লেখ করে যে, মোঃ মিঠুন আলী নাটোর জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চায়। নির্বাচনী তপশীল অনুযায়ী গত ১০ আগষ্ট বুধবার সে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে যায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, সভাপতি পদে নির্বাচন হবে না, এ পদ সংরক্ষিত, এ পদে কোন মনোনয়ন পত্র বিক্রি হবে না। বাদী মিঠুন আলী এ বিষয়ে তাৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করলে, তার উপর হামলা ও মারধর করা হয়। সেখানে উপস্থিত থাকা মিঠুন আলী’র শুভাকাঙ্খীরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে অবগত করেন। নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মহসিন আলী তাৎক্ষনাৎ নাটোর জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নে উপস্থিত হন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে বাদী মিঠুন আলী আদালতের স্মরনাপন্ন হয়ে এই নির্বাচন বন্ধ ও নির্বাচনী কার্যক্রম যেন পরিচালনা করতে না পারে সে বিষয়ে আবেদন করেন, এতে মাননীয় আদালত সন্তুষ্ট হয়ে বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে, অস্থায়ী অন্তবর্তীকালীন ০৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মামলার সৈয়দ মোর্ত্তজা আলী বাবলুসহ ০১-০৩নং আসামী যারা এই পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন কমিশন, তাদেরকে পরবর্তী সকল নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে নিষেধ করে এবং কারণ দর্শাতে বলে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় আদালতের নিষেধ অমান্য করে নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দ করেছেন, প্রতীক অনুযায়ী প্রার্থীগণ শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে পোষ্টারও সাটিয়েছেন, যা ঘোরতর অপরাধ, আইনের লংঘন বা আদালত অবমাননার শামিল।
পরে বাদী মিঠুন আলী যখন বিষয়টি আমাকে অবগত করেন এবং এর প্রতিকার চান, তখন আমি আবারও মাননীয় আদালতের দারস্থ হই। গত ২১আগষ্ট ২২ইং তারিখে আমরা মাননীয় আদালতে উপস্থিত হয়ে বিষয়গুলো জানাই যে, মাননীয় আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই নির্বাচন কমিশন তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে, তারা প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে এবং প্রার্থীগণ তাদের প্রচারনাও চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে যে কোন সময় অপ্রীতিকর/দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তখন বিজ্ঞ আদালত নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর আদালতের নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত আদেশ প্রেরণ করেছেন এবং এ আদেশ মান্য করার জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন এ ধরনের ট্রেড ইউনিয়ন গুলোতে সংরক্ষিত বলে কোন পদ নেই। যেখানে নির্বাচনী তপশীলে দশ হাজার টাকা দিয়ে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করতে বলা হয়েছে, সেখানে কেন সভাপতি পদে মনোনয়ন ফরম বিক্রয় করা হবে না। এটা সম্পূর্ণই আইনের লংঘন ও পরিপন্থী। আমরা মাননীয় আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি, নিশ্চয়ই আমরা আইনানুযায়ী সঠিক সমাধান পাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *