নাটোরের আছিয়া পেল বেগম মাথা গোঁজার ঠাঁই

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যে বয়সে চিন্তা থেকে অবসরে যাবার কথা, সেই বয়সেই যেন তাঁর এক পাহাড়সম চিন্তা। প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন দেখে শেষ বয়সে যেন তাঁর সন্তান তাকে দুবেলা দুমুঠো খাবার এবং ঘুমানোর জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করে। নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের আছিয়া বেগম ৯১ বছর বয়স, সন্তানের মৃত্যুর পরে তাঁর দুবেলা দুমুঠো খাবারই জোটে না, থাকার মতো ঘরটিও ঝড়ে ভেঙে গেছে কোনরকমে ভাঙা ঘরেই তাঁর শেষ আশ্রয়। গ্রামের সচেতন মানুষ তাঁর দুঃখ-দুর্দশা দেখে আর্ন এ্যান্ড লিভের সদস্য মুসা আকন্দ এর শরণাপন্ন হয়। আর্ন এ্যান্ড লিভের সদস্যের নাটোর টিম বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে সকল কিছু জেনে যোগাযোগ করে “আর্ন এ্যান্ড লিভের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদা ইয়াসমিন জেসির সঙ্গে। প্রতিষ্ঠাতা বৃদ্ধ মায়ের অসহায়ত্বের বিষয় জানার সঙ্গে সঙ্গে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার আশ্বাস দেন। তারই ধারাবাহিকতায় ০১-১২-২০২২ তারিখে শুরু হয় ঘর নির্মাণের কাজ। ১৬-১২-২০২২ তারিখে বৃদ্ধ মায়ের হাতে ঘরটি তুলে দেয়া হয়। বৃদ্ধা জানায়, বৃষ্টির রাতে ঘুমাতে পারিনি পলিথিন পেচিয়ে রাত পার করেছি, এখন আর কোনো সমস্যা নেই আর্ন এ্যান্ড লিভের এই উপহার পেয়ে আমি খুশি। গ্রামবাসীও আর্ন এ্যান্ড লিভের এই কার্যক্রমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সেই সাথে আগামীতে যেন আরো মানুষের সেবা করে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে । আর্ন এ্যান্ড লিভের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি জানায়, বৃদ্ধ মায়ের জন্য সার্বিক সহযোগিতা আর্ন এ্যান্ড লিভের পক্ষ থেকে দেয়া হবে আগামীতেও আরো সেবা মূলক কাজ চলমান থাকবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *