দুই ম্যাচ খেলেই শেষ হতে পারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান

প্রথম রাউন্ড (প্লে-অফ)

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার শেষ ২২টি দলকে (২৬ থেকে ৪৭) খেলতে হবে প্রথম পর্ব। ড্রতে বাছাই করা হবে কোন ১১টি দল কোন ১১টি দলের বিপক্ষে খেলবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে দুই লেগের প্লে-অফের পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠবে ১১টি দল। বাদ পড়াদের বিশ্বকাপ শেষ এখানেই।

দ্বিতীয় রাউন্ড

র‌্যাঙ্কিংয়ের প্রথম ২৫টি দলের সঙ্গে প্লে-অফ পেরিয়ে আসা ১১টি দল যোগ দেবে। ৩৬টি দলকে ভাগ করা হবে ৯টি গ্রুপে। প্রতিটি দল হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে এক অপরের সঙ্গে দুবার করে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল উঠবে পরের রাউন্ডে। এই ১৮টি দলের ২০২৭ এশিয়া কাপে খেলাও চূড়ান্ত হবে।

এশিয়ান বাছাইপর্বের পথপরিক্রমা

এশিয়ান বাছাইপর্বের পথপরিক্রমা
ছবি: এএফসি

তৃতীয় রাউন্ড

১৮টি দলকে তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতি গ্রুপে একেকটি দল ১০টি করে ম্যাচ খেলবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাবে। আশা বেঁচে থাকবে তৃতীয় ও চতুর্থ দলগুলোরও। দুই গ্রুপের তলানির দুটি করে দল বাদ পড়ে যাবে।

চতুর্থ রাউন্ড (এশিয়ান প্লে-অফ)

তিন গ্রুপের তৃতীয় ও চতুর্থ হওয়া ছয়টি দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। দলগুলো এই পর্বে একবার করে মুখোমুখি হবে পরস্পরের। দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে। দুই গ্রুপের রানার্সআপরা একটি প্লে-অফ খেলবে। জয়ী দল যাবে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফে।

আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ

কোন মহাদেশের বিপক্ষে খেলবে এশিয়ার দলটি তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ

প্রথম পর্বের প্লে-অফে বাদ পড়া ১১টি দলের মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা শেষ ১০টি দল হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে এক রাউন্ডের প্লে-অফ খেলবে। জয়ী পাঁচটি দল এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের পরবর্তী ধাপে উঠবে।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে চূড়ান্তপর্ব

প্লে-অফ পেরোনো পাঁচটি দল ও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে খেলা র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলটি যোগ দেবে আরও ১৮টি দলের সঙ্গে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়া এই ১৮টি দল। ২৪টি দলকে ছয়টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দলটি জায়গা পাবে এশিয়ান কাপে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *