ডেপুটি স্পিকারের মৃত‍্যুতে মন্ত্রীদের শোক

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তারা। আজ শনিবার (২৩ জুলাই) গণমাধ্যমকে পাঠানো বিভিন্ন বার্তায় এসব শোক জানানো হয়।  ডেপুটি স্পিকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল শুক্রবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ২টার দিকে (নিউ ইয়র্ক সময় বিকেল ৪টা) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফজলে রাব্বি মিয়া। তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। উল্লেখ্য, গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় (নিউ ইয়র্ক সময় বিকেল ৪টা) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কস্থ মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ১১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতেও তিনি কাজ করেন। মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। পঞ্চম ও সপ্তম সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সপ্তম জাতীয় সংসদে তিনি সরকারী প্রতিষ্ঠান কমিটি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি, কার্য উপদেষ্টা কমিটি, কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি প্রথমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে এবং পরে সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। দশম সংসদ থেকে মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি সংসদ লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি, কার্য-উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, কার্যপ্রণালীবিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পিটিশন কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া। এ সময় তিনি কার্য-উপদেষ্টা কমিটি ও পিটিশন কমিটির সদস্য এবং লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *