ট্রলার নোঙ্গর করা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

বরগুনার পাথরঘাটায় ট্রলার নোঙ্গর করা নিয়ে এনামুল হোসাইনের মালিকানা এফবি আল-মদিনা ও রাসেল কোম্পানির মালিকানাধীন এফবি মা ফাতেমা ট্রলারের মাঝিমাল্লাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় ট্রলারের ৮ জন মাঝিমাল্লা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।রবিবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেশের বৃহত্তর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটা বিএফডিসিতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- এফবি মা ফাতেমা ট্রলারের মোহাম্মদ সুলতান (৬০), মোহাম্মদ ফারুক (৩০), আলতাফ (৬০)। এদের সবার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার চরকগাছিয়া এলাকায়। অপরদিকে এফবি আল মদিনার আহতরা হলো ইমরান মাঝি‌ (৪০), মোহাম্মদ শাহিন (২৫), আবু জাফর (২৫), মোহাম্মদ বাবুল (৩৫),  মোহাম্মদ মোশারফ (৩৫),  এদের সবার বাড়ি নোয়াখালী জেলার বিশ্বআন্ডার চর এলাকায়।এর মধ্যে এফবি মা ফাতেমা ট্রলারের মোহাম্মদ সুলতান ও মোহাম্মদ ফারুককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সমুদ্র থেকে মাছ শিকার করে মৎস্য ঘাটে এফবি আল-মদিনা ট্রলার নোঙর করে রাখে। পরবর্তীতে এফবি মা ফাতিমা ট্রলারটি ঘাটে এসে আল-মদিনা ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের জায়গা দিতে বলে। কিন্তু জায়গা করে দিতে দেরি হওয়ায় আল-মদিনা ট্রলার বেধে রাখা রশি কেটে দেয় মা ফাতিমা ট্রলারের মাঝি মাল্লারা। এ নিয়ে দুই ট্রলারে মাঝি-মাল্লাদের মধ্যে বাকবিতান্ডা শুরু হয়ে  একপর্যায়ে উভয়ই উভয়ের ট্রলারে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।তিনি আরও জানান, ঘাট পরিচালনা করার জন্য ঘাট কতৃপক্ষের কোনও জনবল নেই। তাই প্রায়ই নোঙর করা নিয়ে মাঝেমল্লাদের মধ্যে অপ্রীতিকায় ঘটনা ঘটছে বলে জানান তিনি।এবিষয়ে আল-মদিনা ট্রলারের মালিক এনামুল হোসাইন জানান, যেহেতু মাঝিমাল্লারা ট্রলার নোঙর করা নিয়ে ঝামেলা করেছে। সে ক্ষেত্রে ট্রলার মালিক সমিতির মাধ্যমে মাঝি সমিতির কাছে বিচার দেয়া হবে।পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান, সংবাদ পাওয়ার পর সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে উভয় পক্ষের আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের কারো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *