ডেস্ক খবর ঃ
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোচা একই এলাকার উপর দিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান ইউএনবিকে বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।শনিবার সকালে এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৭৪৫কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা বন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে কেন্দ্রীভূত ছিল বলে সর্বশেষ আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে।
এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে, উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করবে।চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় কারণে শনিবার রাতের মধ্যে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের পেরিফেরিয়াল প্রভাব অনুভব করবে বলে বুলেটিনে বলা হয়েছে।অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ায় ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকবে।উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।অতি ঘূর্ণিঝড় এবং খাড়া চাপ গ্রেডিয়েন্টের পেরিফেরাল প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এবং তাদের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলো স্বাভাবিকের থেকে ৮-১২ ফুট উচ্চতা বাতাস চালিত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের জোয়ারউপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট উচ্চতা বাতাস চালিত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।