পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ছয়টার দিকে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে একটি মোটরসাইকেল, জুতা ও প্লাস্টিকের বস্তা দেখতে পান স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হলে তাঁরা কাছে গিয়ে দেখেন সেখানে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দী রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। সকাল সাতটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এরপর নিহত আনসার ও ভিডিপি সদস্য কুদ্দুস মিয়ার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) নূরজাহান লাবণী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল ও র্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার এফতেখারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেছেন। আটক আনসার সদস্য কিছু তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এদিকে ঘিওর থানা-পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিয়োগে উৎকোচের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে আনসার সদস্য কুদ্দুস ও শাহিনুরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে কুদ্দুসকে ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে। ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আনসার সদস্য শাহিনুর ইসলাম হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহত ব্যক্তির শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অধিকতর তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে।