গুরুদাসপুরে ড্রাগন চাষে স্বাবলম্বী

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতনিধিঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন শামীম রেজা নামে এক সেনা সদস্য। দেড় বছর আগে ৪ বিঘা জমিতে তিনি ড্রাগন চাষ শুরু করেন। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে এই ফল বিক্রি করে তার আয় হয়েছে ৭ লাখ টাকার ওপরে। শামীম রজো তার স্বপ্ন পূরনের পাশাপাশি এলাকার অনেকের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। এ উপজেলা ড্রাগন চাষ করে বেকারদের স্বাবলম্বী হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন এই ড্রাগন চাষী।সেনা বাহিনীর চাকরির পাশাপাশি দেড় বছর আগে এলাকায় ৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ৪ হাজার ড্রাগন চারা রোপন করেন। চারা লাগানোর পরের বছরই ২০২২ সালে উৎপাদনে আসে। তিনি বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত ৭লক্ষ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। আগামী বছর পুরোপুরি উৎপাদনের আসবে। এছাড়াও তার বাগানে ৪ প্রজাতির ড্রাগন ফলসহ বিভিন্ন ধরনের ফল চারা রোপন করতে দেখা গেছে। তার এই সাফল্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ দেখতে আসেন। অনেকেই ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।বামনকোলা এলাকার সোহাগ আহমেদ বলেন, তিনি প্রায় প্রতিদিনই এই বাগানে আসেন। প্রথমদিকে মনে হতো শামীম রজো এত টাকা খরচ করে ক্ষতির মুখে পরবেন। কিন্তু এখন দেখছি তিনি সফল হয়েছেন। তাই তিনিও চিন্তা করছেন নিজেই ড্রাগন বাগান করবেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন বিভিন্ন প্রজাতির ড্রাগন ফলের চাষ, চারা উৎপাদন ও ফল বিক্রি করে দ্রুতই স্বাভলম্বী হয়ে উঠবেন।সরেজমিন গিয়ে শামীম রেজার বাগানে দেখা গেছে, রোপনকৃত এসব গাছে ধরেছে নানা রঙ্গের ড্রাগন ফুল ও ফল। ইতিমধ্যেই তিনি চারা উৎপাদন করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করে জানান, ফল ও চারা বিক্রি করে প্রতিমাসে গড়ে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। তার এই আবাদ করতে এই পর্যন্ত ১৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। নাটোরসহ গুরুদাসপুরের আশপাশের এলাকা থেকে ক্রেতারা গিয়ে বাগান থেকেই ফল কিনে নিয়ে যায়। ফলের চাহিদাও বেশ অনেক। বর্তমানে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি এই ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, আমাদের দেশে ড্রাগন চাষ করার মত উপযোগী পরিবেশ আছে। রোগ বালাই ও খরচ অনেক কম। এতে ফল ও কাটিং করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *