উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিলো টাইগাররা

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির কষ্ট ভুলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একেবারে হোয়াইওয়াশের লজ্জাই দিলো টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটের জয়ে ৩-০ ব্যবধানে শেষ করল বাংলাদেশ।ক‍্যারিবিয়ানদের এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয়বার ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। একসঙ্গে দলটির বিপক্ষে টানা একাদশ জয়ও তুলে নিলো।শনিবার গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা উইন্ডিজ তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ৪৮.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করতে পারে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ও ৯ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল-নাজমুল হোসেন শান্ত ২০ রানের জুটি গড়েন। তবে এ ম্যাচেও ব্যর্থ শান্ত। তিনি ১৩ বল মোকাবিলা করে মাত্র ১ রান তুলে আলজারি জোসেফের বলে আউট হন। এরপর তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ৫০ রানের জুটি গড়েন। দারুণ ব্যাট করতে থাকা তামিম শেষ অবধি গুডাকেশ মোটির বলে ফেরেন। দলনেতা ৫২ বলে ৪টি চারে ৩৪ রান করেছেন।তামিম বিদায় নিলেও আবিচল থাকেন লিটন। তিনি মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন। এ সময় ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি করে। কিন্তু ৬৫ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ঠিক ৫০ করে মোটির শিকার হন। মোটির সেই ওভারেই শূন্য রানে আফিফ হোসেন বোল্ড হলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।মোটির চতুর্থ শিকার হয়ে ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর ব্যক্তিগত ২৬ রানে নিকোলাস পুরানের বলে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। তবে এরপর আর বিপদ হতে দেননি নুরুল হাসান-মেহেদী হাসান মিরাজ জুটি। তারা উইকেটে অপরাজিত থেকেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। নুরুল ৩৮ বলে ৩২ ও মিরাজ ৩৫ বলে ১৬ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকেন।ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে মোটি ৪টি উইকেট পান। জোসেফ ও পুরান ১টি করে উইকেট দখল করেন।টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ। তবে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নেমে নিজের প্রথম বলেই উইকেট নেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে ব্যক্তিগত ৮ রানে বোল্ড করেন। নিজের পরের ওভারে আরেক ওপেনার শাই হোপকেও বিদায় করেন এই বাঁহাতি। অন্য প্রান্তে শামারাহ ব্রুকসকে এলবি করে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের সঙ্গে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে উইন্ডিজ। তবে নাসুম আহমেদের বলে কার্টি তামিম ইকবালকে ক্যাচ দিলে জুটি ভাঙে। কার্টি ৬৬ বলে ৩৩ রান করেন।এরপর দ্রুতই উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। পুরানকে বোল্ড করেন তাইজুল। পুরান উইন্ডিজদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন। ১০৯ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। পরে নিজের নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট দখল করেন তাইজুল। ক্যারিবীয় দলের আর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি।তাইজুল ১০ ওভার বল করে ২৮ রানের বিনিময়ে দুটি মেডেন নিয়ে ৫ উইকেট দখল করেন। মোস্তাফিজ ও নাসুম দুটি করে উইকেট পান। মোসাদ্দেক হোসেন একটি উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *