তরমুজে ভাগ্য পরিবর্তনের আশা

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার কাটাখালী এলাকার প্রতিবেশী দুই যুবক জালাল আকন ও জুয়েল আমীন। করোনাকালে বেকার হয়ে পড়েন। এ বছর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২৪০ শতাংশ পতিত জমিতে গ্রীষ্ফ্মকালীন তরমুজের চাষ করেছেন তাঁরা। এক সপ্তাহের মধ্যে তরমুজ বিক্রি শুরু হবে। এই তরমুজ দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের আশা তাঁদের। জালাল আকন জানান, জমি প্রস্তুত, পাঁচ হাজার তরমুজ বীজ রোপণসহ ফলন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করার আশা করছেন তাঁরা। জুয়েল আমীন বলেন, তরমুজ বিক্রি করে করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ায় সকালে ক্ষেত থেকে তুলে দুপুরের মধ্যে তাজা তরমুজ ঢাকায় পাঠানো যাবে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ তরমুজ চাষে তাঁদের উদ্বুদ্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, দশমিনা উপজেলায় এ বছর ১০ একর জমিতে গ্রীষ্ফ্মকালীন তরমুজের চাষ হয়েছে। দেশ-বিদেশে গ্রীষ্ফ্মকালীন বারি-১ এবং বারি-২ জাতের তরমুজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, এ বছর ১০ একর পতিত জমিতে কয়েক বেকার যুবক গ্রীষ্ফ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। ফলন অনেক
ভালো হয়েছে। পুরোপুরি সফলতা পেলে এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *