ইসরায়েলের জেরুজালেম শহরের ওল্ড সিটি এলাকায় একটি বাসে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছে। ইসরায়েলে শনিবার দিবাগত রাতে ওই হামলার পর এক বন্দুকধারীকে খুঁজছে দেশটির পুলিশ। খবর আল-জাজিরার।ইসরায়েলের চিকিৎসক ও পুলিশের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।বাসটি ওয়েস্টার্ন ওয়ালের কাছে একটি পার্কিং লটে দাঁড়ানো ছিল। ইসরায়েলি যাত্রীরা বাসটি ছাড়ার অপেক্ষায় এর ভেতরে অবস্থান করছিল। স্থানীয় সংবাদপত্র টাইমস অব ইসরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক অন্তঃসত্ত্বা নারীও আছেন। ওই এলাকার একটি পার্কিং লটে দ্বিতীয় বন্দুক হামলা হওয়ার খবরও প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রটি।তদন্ত শুরু করতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।পুলিশ বলছে, একটি বাসে বন্দুকধারীর হামলা হয়েছে বলে খবর পাওয়ার পর তারা সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে এবং সন্দেহভাজনকে খুঁজতে থাকে।হামলার পর সন্দেহভাজনকে খুঁজে পেতে সিলওয়ান এলাকার কাছে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ। ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি নাতাশা ঘোনিম বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় বাড়িঘরে অভিযান চালাচ্ছে এবং সন্দেহভাজনের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষদের আটক করছে। তাঁর ভাষ্য, ‘পুলিশ সিলওয়ানে বেশ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান ও ধরপাকড় চালাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী। সন্দেহভাজনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক থাকতে পারে।’গাজা উপত্যকা ও দখলকৃত পশ্চিম তীর এলাকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে এক সপ্তাহের উত্তেজনা চলার পর এ হামলা হলো। এর আগে গত সপ্তাহে গাজায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ।দখলকৃত পশ্চিম তীর এলাকা থেকে সংগঠনটির এক নেতাকে গ্রেপ্তারের পর এ অভিযান চালানো হয়। বিমান হামলায় ১৭ শিশুসহ ৪৯ ফিলিস্তিনি এবং দুজন ইসলামিক জিহাদ কমান্ডার নিহত হন। আহত হন কয়েক শ ফিলিস্তিনি।জবাবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক শ রকেট ছুড়েছে ইসলামিক জিহাদ। তবে এগুলোর বেশির ভাগই প্রতিহত করা হয়েছে। কোনো ইসরায়েলি মারা যাননি কিংবা গুরুতর আহত হননি। মিসরের মধ্যস্থতায় একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়ে এ উত্তেজনার নিরসন হয়।