ছাত্রলীগ নেতা জীবনকে দাফনের পর অব্যাহতি চাইলেন নলডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অব্যাহতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন তিনি। ইতোমধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন ছাত্রলীগের এই নেতা।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘এসএসসি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে দীর্ঘদিন নলডাঙ্গা পৌরসভায় মাস্টাররোলে চাকরি করলেও তা স্থায়ী হয়নি। এসব নানা কারণে মানসিকভাবে হতাশ। এজন্য আমার পক্ষে এই দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। তাই আমার পদ থেকে অব্যাহতি চাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার নাছির উদ্দিন নয়ন বলেন, ‘জীবন হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে জেলা ছাত্রীগের সভাপতি কিছুটা সোচ্চার রয়েছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক নীরব ভূমিকা পালন করছেন। এ নিয়ে আমি ক্ষুব্ধ। এসব কারণে অব্যাহতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেছি।’
প্রসঙ্গত, নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে অভিযোগ তুলে ফেসবুকে লাইভ করার জেরে ছাত্রলীগ কর্মী জামিউল আলিম জীবনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
ঘটনার তিন দিন পর শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন জীবন। তবে দীর্ঘ সময় আইসিইউতে রাখা হলেও অস্ত্রোপচারের জন্য বের করে এনে তা করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের ভাই আলিম আল রাজিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ওই মামলায় ইতোমধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।