চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর, ইপিজেড, সল্টগোলা ক্রসিংসহ আশপাশের এলাকা থেকে আরও ৫৫ জন ডায়রিয়া নিয়ে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসার্স ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ভর্তি হয়েছেন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের দিন ভর্তি হয়েছিলেন ৬৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষের পাশাপাশি শিশুও আছে।বিআইটিআইডিতে বর্তমানে ৮৮ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে আরও অনেকে চিকিৎসা নেন বলে জানা গেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুজন বড়ুয়া বলেন, সকাল ৮টা পর্যন্ত সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।আগের দিন ভর্তি হওয়া ৩৯ জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। হঠাৎ করে ডায়রিয়া দেখা দেওয়ার কারণ অনুসন্ধানে আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি দল চট্টগ্রামে আসছে বলে জানা গেছে।আক্রান্ত রোগীদের পাতলা পায়খানার পাশাপাশি বমির প্রবণতা রয়েছে। কারও কারও পানিশূন্যতাও দেখা দিয়েছে। এক ঘরের একাধিক ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী–পুরুষের পাশাপাশি শিশুও রয়েছে। মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।বিআইটিআইডির সহযোগী অধ্যাপক মো. মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হয়ে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন।প্রাথমিকভাবে দূষিত পানির কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডায়রিয়াপ্রবণ এলাকাগুলোর কয়েকটি জায়গা পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এ কারণে সুয়ারেজ লাইনের সঙ্গে ওয়াসার পানি সরবরাহ লাইনের সংযোগ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানান সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।উল্লেখ্য, এর আগে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে একই এলাকায় ডায়রিয়া দেখা দিয়েছিল।