খুনি দের থেকে সতর্ক থাকুন, যুদ্ধাপরাধীরা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

 

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ফাইল ছবি।সূত্র-বাসস

ডেস্ক খবর ঃ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা রোববার দেশকে ধ্বংস করার জন্য হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীরা আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে বলে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।তিনি বলেন, “আমরা বিজয় অর্জন করেছি। বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাই আবার ক্ষমতায় এসে খুনি ও যুদ্ধাপরাধীরা যাতে দেশকে ধ্বংস করতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (কেআইবি) আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ৫১ বছর আগে লালিত বিজয়ের আগে যখন দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তখন ১০ ডিসেম্বরের আল্টিমেটাম দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিল বিএনপি। তিনি বলেন, বিএনপি এমনকি বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি পালন করছে না। এটা (আ.লীগ সরকারকে ঠেকানো) কি এতই সহজ? তিনি একটি প্রশ্ন করেন- জাহির.

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আ. এরশাদকে নস্যাৎ করেছে”।তিনি আরও বলেন, “আমরা ১৫  ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে খালেদা জিয়াকে অপসারণ করেছি এবং ২০০৬ সালে খালেদা জিয়ার ১.২৩ কোটি ভুয়া ভোটার দিয়ে একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টাকে ব্যর্থ করেছি।”তবে তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা কঠিন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থাকে তখনই ষড়যন্ত্র করা হয়। ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদের ক্ষমতায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য দেশের মানুষকে ভুগতে হয়েছে।”বিজয়ের পতাকা ধরে অদম্য গতিতে ভুগতে হবে নাকি সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হতে হবে তা জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ব।”স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, শাজাহান খান এমপি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম ও সিমিন হোসেন রিমি এমপি, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শেখ বজলুর রহমান ও হুমায়ুন কবির।

আলোচনা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, এমপি এবং তার সহ-সভাপতি এম আমিনুল ইসলাম।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *