ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে কিউইদের প্রথম

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর ট্রফি হাতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথাম

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর ট্রফি হাতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথাম
ছবি: এএফপি

ম্যাচটি যে হারতে হবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তা মাঝবিরতিতেও ভাবতে পারেনি। ম্যাচ শেষে ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরান বলেছেন, ‘এই হার মেনে নেওয়াটা কঠিন। এই উইকেটে তিন শ বেশ ভালো রান। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমরাই এগিয়ে ছিলাম। সত্যি বলতে কী, বোলারদের কাছে এর বেশি আর কী চাইতে পারতাম! কিন্তু নিউজিল্যান্ড খুব ভালো ব্যটিং করেছে।’নিউজিল্যান্ডের ভালো ব্যটিংটা এসেছে ‘দশে মিলে করি কাজ’ ধরনে। আগের ওয়ানডের ম্যাচসেরা ফিন অ্যালেন মাত্র ৩ রান করে আউট হলেও ধাক্কাটা সামলে নেন বাকি ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় উইকেটে মার্টিন গাপটিল-ডেভন কনওয়ের ৮২ রান, চতুর্থ উইকেটে ল্যাথাম ও ড্যারিল মিচেলের ১২০ রান আর শেষ দিকে জিমি নিশাম-মিচেল ব্রেসওয়েলের অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটি কিউইদের জয়ের পথ সহজ করে দেয়।

শতক করে দর্শক অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান কাইল মেয়ার্স

শতক করে দর্শক অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান কাইল মেয়ার্স
ছবি: এএফপি

তিন অংকের ইনিংস কারও নেই, তবে ফিফটি করেছেন চারজন। গাপটিল ৬৪ বলে ৫৭, কনওয়ে ৬৩ বলে ৫৬, ল্যাথাম ৭৫ বলে ৬৯ আর মিচেল ৪৯ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। এ চারজনের সবাই আউট হয়ে যাওয়ার পর শেষদিকে নেমে ৪ ছয়ে ১১ বলে ৩৪ রান করে জয় নিশ্চিত করেন নিশাম।এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে রান পেয়েছেন শুধু টপ অর্ডাররা। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাই হোপ আর কাইল মেয়ার্স মিলে প্রথম উইকেটে তোলেন ১৭৩ রান। ৩৪.৫ ওভার খেলে এই রান তোলেন তাঁরা। ১০০ বলে ৫১ রান করা হোপকে ফিরিয়ে জুটিতে ভাঙন ধরান ট্রেন্ট বোল্ট। অন্য প্রান্তে মেয়ার্সের ব্যাটিং ছিল হোপের বিপরীত, আউট হওয়ার আগে ১১০ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছয়ে ১০৫ রান করেন তিনি।তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক পুরানের ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান মূলত তিন শ পেরোয়। বোল্টের বলে স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৫৫ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রান করেন পুরান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *