নাটোরে গাছ থেকে নিরাপদ আম সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জেলায় গাছ থেকে নিরাপদ আম সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাসায়নিক পদার্থের অপব্যবহার রোধ করে পরিপক্ক ফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ শনিবার বেলা ১১টায় বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ী কেচুয়াকড়া গ্রামে নুরুল হুদা’র আম বাগানে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এ উপলক্ষে আহম্মদপুর বাজারে আম উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের সমাবেশে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ফল চাষীদের ফল সংগ্রহ এবং এর বিপনন ও পরিবহন কার্যক্রমে কোন প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে জেলা প্রশাসন তা নিরসন করবে। ফলের আড়ত এবং বাগানগুলোতে প্রশাসনিক মনিটরিং ব্যবস্থাা চলমান থাকবে। সমাবেশে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, আমের আড়ত এবং আম পরিবহন নিরবচ্ছিন্ন করতে জেলা পুলিশ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবে। দীর্ঘসময় সংরক্ষণ, কষের মাধ্যমে পচন রোধ ও পরবর্ত্তীতে গাছে কুশি বের হওয়ার সুবিধার জন্য বোটাসহ আম পাড়তে কৃষকবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মাহমুদুল ফারুক জনস্বাস্থ্যা নিশ্চিত করতে ক্ষতিকর স্প্রে থেকে বিরত থাকা এবং ব্যাগিং পদ্ধতি অনুসরণে সমবেত কৃষকদের প্রতি অনুরোধ জানান। জনস্বাস্থ্যা নিশ্চিত করতে গাছে ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পর ফল সংগ্রহের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা এবং ক্ষতিকর কার্বাইড ও ফরমালিন ব্যবহার না করার জন্যে ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়াম খাতুন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। জেলায় ২০ মে শুরু হয়ে আম ও লিচু সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে। মোজাফফর জাতের লিচু ইতোমধ্যে সংগ্রহ শুরু হয়েছে এবং বোম্বাই জাতের লিচু ২৫ মে সংগ্রহ শুরু হবে। আমের সময়সূচীর শুরুতে ২০ মে থেকে গোপালভোগ আম, ২৫ মে থেকে লক্ষণভোগ ও রাণী পছন্দ, ৩০ মে থেকে ক্ষীরসাপাত, ৫ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে মোহনভোগ, ২০ জুন থেকে আম্রপালি, হাড়িভাঙ্গা ও ফজলী, ৩০ জুন থেকে মল্লিকা , ১০ জুলাই থেকে বারি-৪, ১৫ জুলাই থেকে আশ্বিনা জাতের আম এবং সর্বশেষ ১৫ আগষ্ট থেকে গৌড়মতি আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়সূচীর বাইরে আগে কোন জাতের আম ও লিচু গাছে পরিপক্ক হলে উপজেলা কৃষিবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কৃষক বা ব্যবসায়ী গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে পারবেন। নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় পাঁচ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৮০ হাজার টন আম এবং ৯২৪ হেক্টর জমি থেকে সাত হাজার ৯০০ টন লিচু উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *